ইউরোপ প্রবাসী মাদক ব্যবসায়ী রফিক হায়দার ও মোর্শেদের কল রেকর্ড ফাঁস
- আপলোড সময় : ১১:৫৪:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪
- / ৪০৩ বার পড়া হয়েছে
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থেকে ফিরে – রফিক হায়দার ও মোরশেদ দুইজন আপন ভাই মোরশেদ প্রথমে মধ্যপ্রাচ্য থেকে চোরাই পথে ইউরোপে পাড়ি জামান ২০০০ সালে আর রফিক হায়দার মোঃ মোরশেদের সহযোগিতায় ইতালিতে যান ২০০৭ সালে ইতালিতে যাওয়ার আগে রফিক হায়দার ২০০৩ সালে তার মায়ের নামে চৌদ্দগ্রাম হাসপাতাল রোডে আমেনা নামে একটি আবাসিক হোটেলের ব্যবসা শুরু করে।
হোটেলটির বিষয়ে অনুসন্ধানে গেলে আব্দুল লতিফ, মতিন মিয়া, আব্দুল আলী সহ চৌদ্দগ্রামের একাধিক ব্যক্তি বলেন রফিক হায়দার তার মায়ের নামে হোটেলটি চালু করলেও নিচে কিন্ডার গার্ডেন স্কুল থাকার সুবাদে হোটেলটিতে চালাতো পতিতা ব্যবসা ও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মাদক ব্যবসায়ীদের অভয়ারণ্য পরিণত করেছিলেন। হোটেলটি তৎকালীন সময় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারির কারণে ব্যবসার বেশি দূর এগুতে না পেরে ২০০৭ সালে রফিক হায়দার পাড়ি জমান ইতালিতে।
চৌদ্দগ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা খুব প্রকাশ করে বলেন যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেন সেখানে কিভাবে কোন সাহসে রফি হায়দার ও মোরশেদের মত কুলাঙ্গাররা মাদকের মতো ভয়ংকর নেশার ব্যবসা করার দুঃসাহস করে। আমরা তদন্ত সাপেক্ষ তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। কল রেকর্ডটি অনুসন্ধান করে দেখা যায় দ্বৈত নাগরিক হওয়ার সুবাধে দেশে এসে আবার ইউরোপে পাড়ি জমানোর সময় অত্যন্ত দক্ষতা ও বিভিন্ন অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সুকৌশলে রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও এয়ারপোর্টে কাস্টমস কর্মকর্তাদের ফাঁকি দিয়ে মাদকের চালান নেন বলে এলাকায় গুঞ্জন আছে ।
অডিও রেকর্ডটিতে মায়ানমার থেকে মাদক আনেন বলেও রফিক হায়দার স্বীকার করেন, পাশাপাশি তার আপন ভাতিজা কে ট্যাবলেট খাইয়ে মারার হুমকি দেন যা অত্যন্ত অমানবিক ও মানবাধিকার লংগনের মত নেককার ঘটনা। রফিক হায়দার ও মোরশেদ অবৈধ ভাবে মাদক ব্যবসা করে গড়েছেন কারি কারি সম্পদ যা দুর্নীতি দমন কমিশন ও গোয়েন্দা সংস্থা কর্তৃক তদন্ত করা উচিত বলে মনে করেন বিভিন্ন শ্রেণী পেসার মানুষ। অনুসন্ধানে জানা যায় সর্বশেষ ডিসেম্বর ২০২৩ দেশে এসে দীর্ঘদিন থাকেন মোরশেদ যাওয়ার সময় রফিক হায়দার এর নির্দেশে বড় একটি মাদকের চালান নেন বলে কথিত আছে। এ বিষয়ে রেকর্ড ফাঁসের মাধ্যমে অভিযুক্ত রফিক হায়দার ও কেরিং ম্যান মোরশেদের সাথে মুঠোফোনে আলাপ কালে তারা বলেন কথাগুলো আমাদেরই কিন্তু এডিট করা ।
কত কথা আছে সব কথা বাদ দিয়ে আপনি মাদকের কথা কেন বললেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন বলছি পারলে আপনারা কিছু করেন বেশি বাড়াবাড়ি করলে সব সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করে দিব।
এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয় ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় অতিরিক্ত পরিচালক,কুমিল্লার সহকারী পরিচালক, বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ প্রক্রিয়া দিন যাহা মাদকবিরোধী কল্যাণ সোসাইটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিমল সরকার করবেন বলে জানা যায় । তাছাড়া ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে গত ১১/৫/২০২৪ ইং তারিখে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন মোঃ আব্দুল্লাহ যার তদন্ত কর্মকর্তা চৌদ্দগ্রাম থানার এস আই মতিন। তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীরা আইনের আওতায় আসবেন বলে আশাবাদী রাষ্ট্রের সকল স্তরের জনগণের।