বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার পল্লীতে বিয়ে বাড়িতে নৃত্য পরিবেশন শেষে বাড়ি ফেরার পথে এক নৃত্যশিল্পী একদল বখাটে কর্তৃক গণধর্ষনের শিকার হয়েছে।

এ ঘটনায় শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে ধর্ষণের শিকার আসমা খাতুন জান্নাতী (১৯) বাদী হয়ে মোল্লাহাট থানায় একটি এজাহার দাখিল করলে পুলিশ ৫ ধর্ষককে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করেছে। আটক ও জেল হাজতে প্রেরনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোল্লাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ এস. এম. আশরাফুল আলম।

আটককৃতরা হলেন- আরমান শেখ (১৯), রাজিব শেখ (১৯), সোহাগ (১৮), নাসির মোল্লা (১৯), ও করিমের (২২) এদের বাড়ি বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার সরসপুর ও কাহালপুর গ্রামে।

ওসি আশরাফুল আলম জানান, বাগেরহাটের ১৯ বছর বয়সি নৃত্যশিল্পী (আসমা খাতুন জান্নাতী) বর্তমানে জেলার ফকিরহাট উপজেলা সদরে স্বামী জাহিদ মোল্লা ও দেড় বছরের শিশুকে নিয়ে বসবাস করেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় এই নৃত্যশিল্পী ফকিরহাট থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় আমন্ত্রন পেয়ে ধর্ষক হৃদয়ের বোনের বিয়ে অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করতে মোল্লাহাট উপজেলার সরসপুর গ্রামে আসে। অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন শেষে রাত ১২টার দিকে ধর্ষকরা নৃত্যশিল্পীকে ফকিরহাটে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে কৌশলে তার স্বামী ও নৃত্যশিল্পীকে আলাদা-আলাদা মোটরসাইকেলে তুলে রওনা দেয়। পথিমধ্যে উপজেলার ঘাটবিলা গ্রামে মোল্লাহাট উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুল আলম সানার পরিত্যাক্ত টিনসেড ঘরে নিয়ে ৮ ধর্ষক মিলে প্রায় এক ঘন্টা ধরে নৃত্যশিল্পীকে গণধর্ষন করে। পরে অভিযুক্তরা ধর্ষিতা ও তার স্বামীকে মোটরসাইকেল যোগে এগিয়ে দিতে থাকলে টহল পুলিশ তাদের থামতে বলে। এসময়ে নৃত্যশিল্পী গণধর্ষন বিষয়টি পুলিশকে জানালে চার ধর্ষককে পুলিশ তখনই গ্রেফতার করে। সকালে নৃত্যশিল্পী গণধর্ষনের ঘটনায় ৮ ধর্ষকের নামে মোল্লাহাট থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে আরো এক ধর্ষককে গ্রেফতার করে।

ওসি আশরাফুল আলম আরো জানান, গণধর্ষনের শিকার নৃত্যশিল্পীর ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য শনিবার দুপুরে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং এ ঘটনায় জড়িত আরো তিন ধর্ষককে গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।