ঢাকা ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিক নাদিম হত্যা বাবুর অন্যতম সহযোগী গ্রেফতার

মো: সাদ্দাম হোসেন মুন্না খান (নিজস্ব প্রতিবেদক)
মো: সাদ্দাম হোসেন মুন্না খান (নিজস্ব প্রতিবেদক)
  • আপলোড সময় : ০৬:৫৯:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩
  • / ৩৫১ বার পড়া হয়েছে

বকশীগঞ্জ থেকে। জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যাকান্ডের ঘটনায় প্রধান আসামী বরখাস্তকৃত ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর অন্যতম সহযোগী আসলাম মিয়া (৩৫) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ।

বুধবার দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ধৃত আসামী নয়ন মিয়ার স্বীকারোক্তি ও প্রত্যক্ষদর্শীদের জবানবন্দীতে নাদিম হত্যাকান্ডে আসলাম মিয়ার সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ। আসলাম মিয়া সাধুরপাড়া ইউনিয়নের কামালের বাত্তি এলাকার ভূলো মিয়ার ছেলে।

বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,
সাংবাদিক নাদিম হত্যাকান্ডের ঘটনায় গত ৩ জুলাই নয়ন মিয়া নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে নয়ন মিয়ার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আসলাম মিয়া সাংবাদিক নাদিম হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত। পুলিশ সুপার এর নির্দেশে অভিযান চালিয়ে আসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা যায়,গত ১৪ জুন বুধবার পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে পৌর শহরের সরকারি কিয়ামত উল্লাহ কলেজ মোড়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম। প্রথমে তাকে বকশীগঞ্জ হাসপাতালে ও পরে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে মারা যান সাংবাদিক নাদিম।

এই ঘটনায় নিহত সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুুকে প্রধান আসামী করে নামীয় ২২ জন ও অজ্ঞাত নামা আরো ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় সারাদেশে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামীসহ ১৪ জনকে গ্রেফতার করে। সবাইকে বিভিন্ন মেয়াদে পুলিশ রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ১৪ জনের মধ্যে প্রধান আসামী মাহমুদুল আলম বাবু,মনিরুজ্জামান মনির ও রেজাউল হত্যার দ্বায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দিয়েছে।
নামীয় ২২ জন আসামীর মধ্যে গ্রেফতার হয়েছে মাত্র ৫ জন আসামী। এখনো ১৭ জন আসামী ধরাছোঁয়ার বাইরে। নাদিম হত্যাকান্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৭ জন গ্রেফতার হল।
নিহত সাংবাদিক নাদিমের পরিবারের দাবি দ্রুত সকল আসামীকে গ্রেফতার করে আইনের মুখোমুখি দাঁড় করাতে হবে।

সাংবাদিক নাদিম বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম এর জেলা প্রতিনিধি ও একাত্তর টিভির বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি ছিলেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সাংবাদিক নাদিম হত্যা বাবুর অন্যতম সহযোগী গ্রেফতার

আপলোড সময় : ০৬:৫৯:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩

বকশীগঞ্জ থেকে। জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যাকান্ডের ঘটনায় প্রধান আসামী বরখাস্তকৃত ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর অন্যতম সহযোগী আসলাম মিয়া (৩৫) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ।

বুধবার দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ধৃত আসামী নয়ন মিয়ার স্বীকারোক্তি ও প্রত্যক্ষদর্শীদের জবানবন্দীতে নাদিম হত্যাকান্ডে আসলাম মিয়ার সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ। আসলাম মিয়া সাধুরপাড়া ইউনিয়নের কামালের বাত্তি এলাকার ভূলো মিয়ার ছেলে।

বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,
সাংবাদিক নাদিম হত্যাকান্ডের ঘটনায় গত ৩ জুলাই নয়ন মিয়া নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে নয়ন মিয়ার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আসলাম মিয়া সাংবাদিক নাদিম হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত। পুলিশ সুপার এর নির্দেশে অভিযান চালিয়ে আসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা যায়,গত ১৪ জুন বুধবার পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে পৌর শহরের সরকারি কিয়ামত উল্লাহ কলেজ মোড়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম। প্রথমে তাকে বকশীগঞ্জ হাসপাতালে ও পরে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে মারা যান সাংবাদিক নাদিম।

এই ঘটনায় নিহত সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুুকে প্রধান আসামী করে নামীয় ২২ জন ও অজ্ঞাত নামা আরো ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় সারাদেশে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামীসহ ১৪ জনকে গ্রেফতার করে। সবাইকে বিভিন্ন মেয়াদে পুলিশ রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ১৪ জনের মধ্যে প্রধান আসামী মাহমুদুল আলম বাবু,মনিরুজ্জামান মনির ও রেজাউল হত্যার দ্বায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দিয়েছে।
নামীয় ২২ জন আসামীর মধ্যে গ্রেফতার হয়েছে মাত্র ৫ জন আসামী। এখনো ১৭ জন আসামী ধরাছোঁয়ার বাইরে। নাদিম হত্যাকান্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৭ জন গ্রেফতার হল।
নিহত সাংবাদিক নাদিমের পরিবারের দাবি দ্রুত সকল আসামীকে গ্রেফতার করে আইনের মুখোমুখি দাঁড় করাতে হবে।

সাংবাদিক নাদিম বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম এর জেলা প্রতিনিধি ও একাত্তর টিভির বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি ছিলেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন