ঢাকা ১০:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কবর দেওয়ার ২৮ বছর পর মিলল অক্ষত লাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপলোড সময় : ০২:৫৪:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৬৮৮ বার পড়া হয়েছে

মতলব উত্তর উপজেলায় ২৮ বছর আগে দাফন করা এক ব্যক্তির মরদেহ অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ এবং কাফনের কাপড়ও ছিল অক্ষত।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পুনরায় ওই মরদেহ দাফন করা হয়েছে। মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার ডেঙ্গুরভিটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, ডেঙ্গুরভিটি গ্রামের বাসিন্দা মো. সাহেব আলী খান ৭২ বছর বয়সে ১৯৯৬ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। পরে তাকে ডেঙ্গুরভিটি গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছিল।

মৃত মো. সাহেব আলী খানের ছেলে মো. মোবারক হোসেন খান বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে বসবাস করছি। আমাদের গ্রাম থেকে ফোনে আমাকে জানানো হয়েছে আমার বাবার কবরের ওপর দিয়ে রাস্তা যাচ্ছে। আমি কয়েকবার স্বপ্নেও দেখেছি। বাবা আমাকে বলেছে আমার কবরের ওপর দিয়ে রাস্তা যাচ্ছে, তুমি আমার কবরটা এখান থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর কর। তখন আমি আমার চাচা এবং গ্রামের লোকজনকে বলেছি আমি দেশে আসলে আমার বাবার কবরটা স্থানান্তর করব। রোববার আমি ইটালি থেকে দেশে এসে হুজুরদের সঙ্গে কথা বলে ধর্মীয় নিয়ম মেনে আত্মীয়-স্বজন ও এলাকার লোকজন নিয়ে বেলা ১১টার দিকে কবর খুঁড়তেই সাদা কাপড় দেখতে পাই। একপর্যায়ে অক্ষত মরদেহ দেখে ওই জায়গা থেকে উত্তোলন করে আমার মায়ের কবরের পাশে দাফন করি। ২৮ বছর পরও বাবার মরদেহ অক্ষত দেখে সবাই অবাক হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আমার বাবা সাধারণ মুসল্লি ছিলেন। অনেক পরহেজগার ছিলেন। মরদেহ কবর থেকে তোলার পর দেখি কাফনের কাপড়ও পচেনি। ধরে দেখি কাপড়ের ভেতরে শুকনো দেহ রয়েছে। প্রতিটি হাড়ের জোড়া শক্ত। হাত-পায়ের জোড়া বিচ্ছিন্ন হয়নি।

এ বিষয়ে ডেঙ্গুরভিটি গ্রামের আব্দুল গনি খান বলেন, মো. সাহেব আলী খানের মরদেহ অলৌকিকভাবে ২৮ বছর পর অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ধর্মীয় রীতি মেনে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।

ছেংগারচর বাজার আন-নুর ইসলামীয়া মাদরাসার মুহতামিম হাফেজ ক্বারি মাওলানা মাইনুদ্দিন খান বলেন, আল্লাহ নানাভাবে তার কুদরতের নিদর্শন দেখান। হয়তো এটি আল্লাহর একটি নিদর্শন। এমনও হতে পারে মো. সাহেব আলী খান আল্লাহর গ্রহণযোগ্য বান্দা ছিলেন। তাই অলৌকিকভাবে মরদেহ অক্ষত রয়েছে। এ ধরনের মরদেহের গোসল ও জানাজা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী স্থানান্তর করে দাফন করে দিলেই হয়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

কবর দেওয়ার ২৮ বছর পর মিলল অক্ষত লাশ

আপলোড সময় : ০২:৫৪:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মতলব উত্তর উপজেলায় ২৮ বছর আগে দাফন করা এক ব্যক্তির মরদেহ অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ এবং কাফনের কাপড়ও ছিল অক্ষত।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পুনরায় ওই মরদেহ দাফন করা হয়েছে। মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার ডেঙ্গুরভিটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, ডেঙ্গুরভিটি গ্রামের বাসিন্দা মো. সাহেব আলী খান ৭২ বছর বয়সে ১৯৯৬ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। পরে তাকে ডেঙ্গুরভিটি গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছিল।

মৃত মো. সাহেব আলী খানের ছেলে মো. মোবারক হোসেন খান বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে বসবাস করছি। আমাদের গ্রাম থেকে ফোনে আমাকে জানানো হয়েছে আমার বাবার কবরের ওপর দিয়ে রাস্তা যাচ্ছে। আমি কয়েকবার স্বপ্নেও দেখেছি। বাবা আমাকে বলেছে আমার কবরের ওপর দিয়ে রাস্তা যাচ্ছে, তুমি আমার কবরটা এখান থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর কর। তখন আমি আমার চাচা এবং গ্রামের লোকজনকে বলেছি আমি দেশে আসলে আমার বাবার কবরটা স্থানান্তর করব। রোববার আমি ইটালি থেকে দেশে এসে হুজুরদের সঙ্গে কথা বলে ধর্মীয় নিয়ম মেনে আত্মীয়-স্বজন ও এলাকার লোকজন নিয়ে বেলা ১১টার দিকে কবর খুঁড়তেই সাদা কাপড় দেখতে পাই। একপর্যায়ে অক্ষত মরদেহ দেখে ওই জায়গা থেকে উত্তোলন করে আমার মায়ের কবরের পাশে দাফন করি। ২৮ বছর পরও বাবার মরদেহ অক্ষত দেখে সবাই অবাক হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আমার বাবা সাধারণ মুসল্লি ছিলেন। অনেক পরহেজগার ছিলেন। মরদেহ কবর থেকে তোলার পর দেখি কাফনের কাপড়ও পচেনি। ধরে দেখি কাপড়ের ভেতরে শুকনো দেহ রয়েছে। প্রতিটি হাড়ের জোড়া শক্ত। হাত-পায়ের জোড়া বিচ্ছিন্ন হয়নি।

এ বিষয়ে ডেঙ্গুরভিটি গ্রামের আব্দুল গনি খান বলেন, মো. সাহেব আলী খানের মরদেহ অলৌকিকভাবে ২৮ বছর পর অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ধর্মীয় রীতি মেনে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।

ছেংগারচর বাজার আন-নুর ইসলামীয়া মাদরাসার মুহতামিম হাফেজ ক্বারি মাওলানা মাইনুদ্দিন খান বলেন, আল্লাহ নানাভাবে তার কুদরতের নিদর্শন দেখান। হয়তো এটি আল্লাহর একটি নিদর্শন। এমনও হতে পারে মো. সাহেব আলী খান আল্লাহর গ্রহণযোগ্য বান্দা ছিলেন। তাই অলৌকিকভাবে মরদেহ অক্ষত রয়েছে। এ ধরনের মরদেহের গোসল ও জানাজা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী স্থানান্তর করে দাফন করে দিলেই হয়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন