ঢাকা ০৬:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল নিয়ে সংশ্লিষ্টদের ভাবনা ——লেখক : প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবু নাছের

মোহাম্মদ আবু নাছের (জেলা প্রতিনিধি নোয়াখালী)
মোহাম্মদ আবু নাছের (জেলা প্রতিনিধি নোয়াখালী)
  • আপলোড সময় : ১২:০১:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৪২০ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল নিয়ে সংশ্লিষ্টদের ভাবনা

—-লেখক : প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবু নাছের

বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় অধীনস্থ একটি সংবিধিবদ্ধ সরকারি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি হোমিওপ্যাথি কোর্সে স্নাতক ও ডিপ্লোমা ডিগ্রী প্রদান করে। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড গঠন করা হয়। এই বোর্ডের অধীনে কোর্সের নামকরণ করা হয় ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি (ডিএইচএমএস)।
হোমিওপ্যাথিক কলেজ অনুমোদন, নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও শিক্ষাক্রম প্রণয়ন ও পরিচালনা ছিলো এই বোর্ডের দায়িত্ব।
১৯৮২ সাল পর্যন্ত সরকার কর্তৃক নিযুক্ত ব্যক্তিরা এই বোর্ডের দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক প্র্যাকটিশনার্স অধ্যাদেশ ১৯৮৩ জারি হলে বোর্ডটি স্বায়ত্তশাসনের অধীনে আসে এবং সৃষ্ট পদসমূহে ব্যাপক রদবদল আসে।
পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালে বোর্ডটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে হোমিওপ্যাথিক কলেজ গুলোতে ব্যাচেলর অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি (বিএইচএমএস) ডিগ্রি চালু করে।
বাংলাদেশ সরকার ও কাউন্সিল স্বীকৃত হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্বীকৃত কোর্সে পাসকৃত ডিগ্রিধারী হোমিওপ্যাথিক ডা. (ডাক্তার)দের মানোন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা ও উচ্চ শিক্ষা এবং গবেষণা ব্যবস্থা প্রভৃতির জন্য সময়ের চাহিদায় বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক প্র্যাকটিশনার্স অধ্যাদেশ ১৯৮৩ রহিতকরণ করে ০২ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩ সর্বসম্মতভাবে পাস হয়।
১৩ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে আইনটি বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত ও কার্যকর হয়ে আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার এর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ এর বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডকে প্রতিস্থাপিত করে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের জায়গা ও অবকাঠামো এবং জনবল নিয়ে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা যুগোপযোগী ও জনগনের আস্তা অর্জন করার প্রয়োনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা সময়ের দাবী। চিরাচরিত আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির পাশাপাশি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসারও কদর রয়েছে অনেকের কাছে। আধুনিক গবেষণা ও যথাযত বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের অভাবে একসময়ের জনপ্রিয় এই চিকিৎসা পদ্ধতিটি তার অতীত গৌরব ধরে রাখতে পারছে না। এর কারণ হিসাবে দেখা হিসাবে নিম্নোক্ত পয়েন্ট গুলো উল্লেখযোগ্যঃ
১ হোমিওপ্যাথিতে আধুনিক বৈজ্ঞানিক গবেষনার অভাব।
২। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শিক্ষা পরিষদে যোগ্য নেতৃত্বের অভাব।
৩। হোমিও চিকিসকগন প্রচীন চিকিৎসা পদ্ধতি ও ধ্যান – ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারা।
৪। হোমিওপ্যাথিতে রোগনির্ণয়, রোগ প্রতিরোধ, পুষ্টিবিষয়ক জ্ঞান চর্চা, বৈজ্ঞানিক প্রমান ভিত্তক ফার্মাকোলজি চর্চা ইত্যাদিতে প্রয়োজনীয় আধুনিকায়নের অভাব।
৫। অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতির গবেষক ও চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের সাথে সমন্বয়হীনতার অভাব।
৬। সরকারের স্বদিচ্ছার অভাব ও পরিষদকে দলীয় করণ করা প্রভৃতি।
এখন সময় এসেছে নতুন প্রজন্মকে সাথে রেখে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতির সাথে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাকে এগিয়ে নেয়া ও এর প্রয়োজনীয় আধুনিকায়ন করে স্বাস্থ্যসেবায় অবদান রাখা। হোমিওপ্যাথির ছাত্র- শিক্ষসহ সংশ্লিষ্ট অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্তমান সরকারের কাছে দাবী হচ্ছে, আধুনিক চিন্তা-ভাবনা সম্পন্ন একজন যোগ্য ব্যাক্তিকে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা পরিষদের চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়া। যাতে, তার মাধ্যমে সরকার ও জনগনের আাশা আকাক্ষার প্রতিফলন ঘটে। এক্ষেত্রে ডাঃ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের নাম প্রস্তাব করছেন অনেকে। বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের মধ্যে তার রয়েছে বর্ণাঢ্য কেরিয়ার রয়েছে। তিনি একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ও রোগতত্ত্ববিদ। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হয়ে দীর্ঘ প্রায় পনের বছর যাবত চিকিৎসা সেবায় অবদান রাখছেন তিনি। মুসলিম এইড ইউকে এর হয় বাংলাদেশে প্রায় তিন বছর সংস্থাটির স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের নেতৃত্ব দেন। এছাড়াও ইউএসএআইডি, ডিএফআইডি এর হয়ে বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে প্রায় দশ বছর নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাংলাদেশে সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছেন আরো প্রায় পাঁচ বছর। বর্তমানে এই গুণী হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ঢাকায় একটি বেসরকারী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবী, তাকে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ও শিক্ষা নির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান নিয়োজিত করা হলে, সকলের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে।

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল, ২০২৩ এর ৬৩ নং আইন এর দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি সরকারী প্রতিষ্ঠান। এর কাজ হলো হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ও শিক্ষার আইনগত অভিভাবকত্ব করা। আধুনিক মানস্মত ও বিশ্বস্ত স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্যতার সাথে জনগনের কাছে পৌছে দেয়া।
এই প্রতিষ্ঠানের সাবেক চেয়ারম্যান ডাঃ দিলীপ কুমার রায় পদত্যাগ করায় পদটি বর্তমানে খালি আছে।

তাই এ নিয়ে রয়েছে নানা ধরনের জল্পনা-কল্পনা একজন সৎ যোগ্য ও আধুনিক জ্ঞান সম্পন্ন এক চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবী জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট মহল।
হোমিওপ্যাথির ছাত্র- শিক্ষক ও হোমিওপ্যাথির ভক্তজনের বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে শীঘ্রই হোমিওপ্যাথিক কাউন্সিলের নতুন চেয়ারম্যান নিযোগের প্রত্যাশা করছেন সাধারণ সদস্যরা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল নিয়ে সংশ্লিষ্টদের ভাবনা ——লেখক : প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবু নাছের

আপলোড সময় : ১২:০১:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪

বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল নিয়ে সংশ্লিষ্টদের ভাবনা

—-লেখক : প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবু নাছের

বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় অধীনস্থ একটি সংবিধিবদ্ধ সরকারি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি হোমিওপ্যাথি কোর্সে স্নাতক ও ডিপ্লোমা ডিগ্রী প্রদান করে। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড গঠন করা হয়। এই বোর্ডের অধীনে কোর্সের নামকরণ করা হয় ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি (ডিএইচএমএস)।
হোমিওপ্যাথিক কলেজ অনুমোদন, নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও শিক্ষাক্রম প্রণয়ন ও পরিচালনা ছিলো এই বোর্ডের দায়িত্ব।
১৯৮২ সাল পর্যন্ত সরকার কর্তৃক নিযুক্ত ব্যক্তিরা এই বোর্ডের দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক প্র্যাকটিশনার্স অধ্যাদেশ ১৯৮৩ জারি হলে বোর্ডটি স্বায়ত্তশাসনের অধীনে আসে এবং সৃষ্ট পদসমূহে ব্যাপক রদবদল আসে।
পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালে বোর্ডটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে হোমিওপ্যাথিক কলেজ গুলোতে ব্যাচেলর অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি (বিএইচএমএস) ডিগ্রি চালু করে।
বাংলাদেশ সরকার ও কাউন্সিল স্বীকৃত হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্বীকৃত কোর্সে পাসকৃত ডিগ্রিধারী হোমিওপ্যাথিক ডা. (ডাক্তার)দের মানোন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা ও উচ্চ শিক্ষা এবং গবেষণা ব্যবস্থা প্রভৃতির জন্য সময়ের চাহিদায় বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক প্র্যাকটিশনার্স অধ্যাদেশ ১৯৮৩ রহিতকরণ করে ০২ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩ সর্বসম্মতভাবে পাস হয়।
১৩ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে আইনটি বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত ও কার্যকর হয়ে আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার এর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ এর বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডকে প্রতিস্থাপিত করে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের জায়গা ও অবকাঠামো এবং জনবল নিয়ে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা যুগোপযোগী ও জনগনের আস্তা অর্জন করার প্রয়োনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা সময়ের দাবী। চিরাচরিত আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির পাশাপাশি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসারও কদর রয়েছে অনেকের কাছে। আধুনিক গবেষণা ও যথাযত বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের অভাবে একসময়ের জনপ্রিয় এই চিকিৎসা পদ্ধতিটি তার অতীত গৌরব ধরে রাখতে পারছে না। এর কারণ হিসাবে দেখা হিসাবে নিম্নোক্ত পয়েন্ট গুলো উল্লেখযোগ্যঃ
১ হোমিওপ্যাথিতে আধুনিক বৈজ্ঞানিক গবেষনার অভাব।
২। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শিক্ষা পরিষদে যোগ্য নেতৃত্বের অভাব।
৩। হোমিও চিকিসকগন প্রচীন চিকিৎসা পদ্ধতি ও ধ্যান – ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারা।
৪। হোমিওপ্যাথিতে রোগনির্ণয়, রোগ প্রতিরোধ, পুষ্টিবিষয়ক জ্ঞান চর্চা, বৈজ্ঞানিক প্রমান ভিত্তক ফার্মাকোলজি চর্চা ইত্যাদিতে প্রয়োজনীয় আধুনিকায়নের অভাব।
৫। অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতির গবেষক ও চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের সাথে সমন্বয়হীনতার অভাব।
৬। সরকারের স্বদিচ্ছার অভাব ও পরিষদকে দলীয় করণ করা প্রভৃতি।
এখন সময় এসেছে নতুন প্রজন্মকে সাথে রেখে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতির সাথে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাকে এগিয়ে নেয়া ও এর প্রয়োজনীয় আধুনিকায়ন করে স্বাস্থ্যসেবায় অবদান রাখা। হোমিওপ্যাথির ছাত্র- শিক্ষসহ সংশ্লিষ্ট অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্তমান সরকারের কাছে দাবী হচ্ছে, আধুনিক চিন্তা-ভাবনা সম্পন্ন একজন যোগ্য ব্যাক্তিকে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা পরিষদের চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়া। যাতে, তার মাধ্যমে সরকার ও জনগনের আাশা আকাক্ষার প্রতিফলন ঘটে। এক্ষেত্রে ডাঃ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের নাম প্রস্তাব করছেন অনেকে। বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের মধ্যে তার রয়েছে বর্ণাঢ্য কেরিয়ার রয়েছে। তিনি একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ও রোগতত্ত্ববিদ। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হয়ে দীর্ঘ প্রায় পনের বছর যাবত চিকিৎসা সেবায় অবদান রাখছেন তিনি। মুসলিম এইড ইউকে এর হয় বাংলাদেশে প্রায় তিন বছর সংস্থাটির স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের নেতৃত্ব দেন। এছাড়াও ইউএসএআইডি, ডিএফআইডি এর হয়ে বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে প্রায় দশ বছর নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাংলাদেশে সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছেন আরো প্রায় পাঁচ বছর। বর্তমানে এই গুণী হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ঢাকায় একটি বেসরকারী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবী, তাকে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ও শিক্ষা নির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান নিয়োজিত করা হলে, সকলের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে।

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল, ২০২৩ এর ৬৩ নং আইন এর দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি সরকারী প্রতিষ্ঠান। এর কাজ হলো হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ও শিক্ষার আইনগত অভিভাবকত্ব করা। আধুনিক মানস্মত ও বিশ্বস্ত স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্যতার সাথে জনগনের কাছে পৌছে দেয়া।
এই প্রতিষ্ঠানের সাবেক চেয়ারম্যান ডাঃ দিলীপ কুমার রায় পদত্যাগ করায় পদটি বর্তমানে খালি আছে।

তাই এ নিয়ে রয়েছে নানা ধরনের জল্পনা-কল্পনা একজন সৎ যোগ্য ও আধুনিক জ্ঞান সম্পন্ন এক চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবী জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট মহল।
হোমিওপ্যাথির ছাত্র- শিক্ষক ও হোমিওপ্যাথির ভক্তজনের বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে শীঘ্রই হোমিওপ্যাথিক কাউন্সিলের নতুন চেয়ারম্যান নিযোগের প্রত্যাশা করছেন সাধারণ সদস্যরা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন