ঢাকা ০১:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রেমিকাকে যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দিলো প্রেমিক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপলোড সময় : ০৩:০২:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৩৩৫ বার পড়া হয়েছে

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার লংগরপাড়া গ্রামের এক তরুণীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে জামালপুরের দয়াময়ী মোড় যৌনপল্লিতে বিক্রির অভিযোগে লোকমান মিয়া (২৩) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৪।

সোমবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে রোববার (১৩ আগস্ট) রাতে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত লোকমান শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে।
র‌্যাব-১৪ জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই ঘটনার পর থেকে আসামি গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য দেশের বিভিন্ন জেলায় আত্মগোপনে ছিল। এরই সূত্র ধরে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে র‌্যাবের একটি আভিযানিক দল ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে আসামি লোকমানকে গ্রেপ্তার করে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, শ্রীবরদী উপজেলার লংগরপাড়া গ্রামের ওই তরুণীর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ঝিনাইগাতী উপজেলার পাইকুড়া গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে। সংসারে বনিবনা না হওয়ায় প্রায় দুই বছর আগে ওই সংসার ভেঙে যায়। এরপর থেকে ওই তরুণী বাবা-মায়ের সঙ্গে গাজীপুরে বসবাস করতেন। তরুণীর বাবা-মায়ের সঙ্গে একই পোশাক কারখানায় কাজ করতেন লোকমান। সে সুবাদে তাদের বাসায় আসা-যাওয়ার সূত্র ধরে তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে লোকমানের।

এদিকে, বিষয়টি জানাজানি হলে তরুণীকে নানাবাড়ি শ্রীবরদী উপজেলার দক্ষিণ লংগরপাড়া গ্রামে পাঠিয়ে দেয় তার বাবা-মা। এতে লোকমান ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে ওই তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ করে। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে ফেলে গত ২০ জুন নানাবাড়ি থেকে তরুণীকে নিয়ে যায়। তরুণীকে নিয়ে দিনভর নানা জায়গায় ঘোরাফেরার পর কৌশলে জামালপুরের দয়াময়ী মোড়ের পতিতালয়ে তাকে বিক্রি করে পালিয়ে যায় প্রতারক লোকমান।

এদিকে মেয়ে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি পারিবারিক সম্মানের ভয়ে কাউকে না জানিয়ে গোপনে খুঁজতে থাকেন অভিভাবকেরা। একপর্যায়ে গত ৫ আগস্ট তরুণীর মায়ের মোবাইল ফোনে অজ্ঞাত নাম্বার থেকে ফোন আসে। ফোনটি রিসিভ করতেই ওই নাম্বার থেকে ‘আমাকে বাঁচাও বাঁচাও’ বলে চিৎকার শোনা যায়। এ সময় ঠিকানা বলতে পারেনি ভুক্তভোগী তরুণী।

ভিন্ন মাধ্যমে মেয়েকে জামালপুর পতিতালয়ে বিক্রির বিষয়টি জানতে পেরে গত ৯ আগস্ট শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ওই তরুণীর মা। ওইদিন রাতেই পতিতালয় থেকে ভুক্তভোগী তরুণীকে উদ্ধার করে শ্রীবরদী থানা পুলিশ। তবে ঘটনার পর থেকেই পলাতক প্রেমিক লোকমান।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

প্রেমিকাকে যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দিলো প্রেমিক

আপলোড সময় : ০৩:০২:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৩

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার লংগরপাড়া গ্রামের এক তরুণীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে জামালপুরের দয়াময়ী মোড় যৌনপল্লিতে বিক্রির অভিযোগে লোকমান মিয়া (২৩) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৪।

সোমবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে রোববার (১৩ আগস্ট) রাতে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত লোকমান শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে।
র‌্যাব-১৪ জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই ঘটনার পর থেকে আসামি গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য দেশের বিভিন্ন জেলায় আত্মগোপনে ছিল। এরই সূত্র ধরে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে র‌্যাবের একটি আভিযানিক দল ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে আসামি লোকমানকে গ্রেপ্তার করে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, শ্রীবরদী উপজেলার লংগরপাড়া গ্রামের ওই তরুণীর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ঝিনাইগাতী উপজেলার পাইকুড়া গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে। সংসারে বনিবনা না হওয়ায় প্রায় দুই বছর আগে ওই সংসার ভেঙে যায়। এরপর থেকে ওই তরুণী বাবা-মায়ের সঙ্গে গাজীপুরে বসবাস করতেন। তরুণীর বাবা-মায়ের সঙ্গে একই পোশাক কারখানায় কাজ করতেন লোকমান। সে সুবাদে তাদের বাসায় আসা-যাওয়ার সূত্র ধরে তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে লোকমানের।

এদিকে, বিষয়টি জানাজানি হলে তরুণীকে নানাবাড়ি শ্রীবরদী উপজেলার দক্ষিণ লংগরপাড়া গ্রামে পাঠিয়ে দেয় তার বাবা-মা। এতে লোকমান ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে ওই তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ করে। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে ফেলে গত ২০ জুন নানাবাড়ি থেকে তরুণীকে নিয়ে যায়। তরুণীকে নিয়ে দিনভর নানা জায়গায় ঘোরাফেরার পর কৌশলে জামালপুরের দয়াময়ী মোড়ের পতিতালয়ে তাকে বিক্রি করে পালিয়ে যায় প্রতারক লোকমান।

এদিকে মেয়ে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি পারিবারিক সম্মানের ভয়ে কাউকে না জানিয়ে গোপনে খুঁজতে থাকেন অভিভাবকেরা। একপর্যায়ে গত ৫ আগস্ট তরুণীর মায়ের মোবাইল ফোনে অজ্ঞাত নাম্বার থেকে ফোন আসে। ফোনটি রিসিভ করতেই ওই নাম্বার থেকে ‘আমাকে বাঁচাও বাঁচাও’ বলে চিৎকার শোনা যায়। এ সময় ঠিকানা বলতে পারেনি ভুক্তভোগী তরুণী।

ভিন্ন মাধ্যমে মেয়েকে জামালপুর পতিতালয়ে বিক্রির বিষয়টি জানতে পেরে গত ৯ আগস্ট শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ওই তরুণীর মা। ওইদিন রাতেই পতিতালয় থেকে ভুক্তভোগী তরুণীকে উদ্ধার করে শ্রীবরদী থানা পুলিশ। তবে ঘটনার পর থেকেই পলাতক প্রেমিক লোকমান।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন