ঢাকা ১০:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডেমরায় বউ-শাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা: আটক ১

মোঃ সালে আহমেদ (নিজস্ব প্রতিবেদক)
মোঃ সালে আহমেদ (নিজস্ব প্রতিবেদক)
  • আপলোড সময় : ০৯:৪৫:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ২০২ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর ডেমরায় পারিবারিক কলহের জেরে বউ ও শাশুড়িকে ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে সোহাগ মিয়া নামে এক গার্মেন্টস কর্মী। বুধবার দুপুরে বামইল এলাকার মাতব্বর গলির ফাতেমার বাড়ির নিচ তলায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সোহাগের এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাতে স্ত্রী মোরশেদা আক্তারের মাথা, গলা ও বুকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। এ ঘটনায় মেয়েকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে শাশুড়ি শাহিদা আক্তারকেও এলোপাথাড়ি ছুরি ছুরি দিয়ে কোপায় সোহাগ। এ সময় ডাক চিৎকারে পার্শ্ববর্তী ভাড়াটিয়ারা এসে ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। বর্তমানে সোহাগের স্ত্রীর অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগীরা শেরপুরের ঝিনাইগাতী থানার বাতিয়া গ্রামের আব্দুস সালামের মেয়ে ও স্ত্রী। দীর্ঘদিন ধরে স্বামী সোহাগ ও স্ত্রী মোরশেদা আক্তার উভয়ে উভয়কে পরকীয়ার সন্দেহে পারিবারিক কলহে জড়িয়ে ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। সোহাগ ও মোরশেদা দুজনেই ডেমরার উর্মি গার্মেন্টসে কাজ করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও শাশুড়ি শাহিদা আক্তারের ভাই মফিদুল ইসলাম আকাশ বলেন, বুধবার দুপুর পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্বামী সোহাগ মিয়া তার স্ত্রীকে ধারালো চাকু দিয়ে কোপায়। এ সময় তার চিৎকার শুনে আমার বোন বাঁধা দিতে গেলে সোহাগ তাকেও এলোপাথাড়ি চাকু দিয়ে আঘাত করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেমরা থানার ওসি মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, গার্মেন্টস কর্মী সোহাগ বুধবার দুপুরে পারিবারিক কলহের জেরে তার স্ত্রী ও শাশুড়িকে কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে যক্ষম করেছে। বর্তমানে স্ত্রী মোরশেদার অবস্থা খুবই আশঙ্কা জনক। তারা উভয়ে উভয়কে সন্দেহ করতো বলে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। এদিকে সোহাগকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে এবং আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ডেমরায় বউ-শাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা: আটক ১

আপলোড সময় : ০৯:৪৫:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫

রাজধানীর ডেমরায় পারিবারিক কলহের জেরে বউ ও শাশুড়িকে ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে সোহাগ মিয়া নামে এক গার্মেন্টস কর্মী। বুধবার দুপুরে বামইল এলাকার মাতব্বর গলির ফাতেমার বাড়ির নিচ তলায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সোহাগের এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাতে স্ত্রী মোরশেদা আক্তারের মাথা, গলা ও বুকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। এ ঘটনায় মেয়েকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে শাশুড়ি শাহিদা আক্তারকেও এলোপাথাড়ি ছুরি ছুরি দিয়ে কোপায় সোহাগ। এ সময় ডাক চিৎকারে পার্শ্ববর্তী ভাড়াটিয়ারা এসে ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। বর্তমানে সোহাগের স্ত্রীর অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগীরা শেরপুরের ঝিনাইগাতী থানার বাতিয়া গ্রামের আব্দুস সালামের মেয়ে ও স্ত্রী। দীর্ঘদিন ধরে স্বামী সোহাগ ও স্ত্রী মোরশেদা আক্তার উভয়ে উভয়কে পরকীয়ার সন্দেহে পারিবারিক কলহে জড়িয়ে ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। সোহাগ ও মোরশেদা দুজনেই ডেমরার উর্মি গার্মেন্টসে কাজ করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও শাশুড়ি শাহিদা আক্তারের ভাই মফিদুল ইসলাম আকাশ বলেন, বুধবার দুপুর পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্বামী সোহাগ মিয়া তার স্ত্রীকে ধারালো চাকু দিয়ে কোপায়। এ সময় তার চিৎকার শুনে আমার বোন বাঁধা দিতে গেলে সোহাগ তাকেও এলোপাথাড়ি চাকু দিয়ে আঘাত করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেমরা থানার ওসি মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, গার্মেন্টস কর্মী সোহাগ বুধবার দুপুরে পারিবারিক কলহের জেরে তার স্ত্রী ও শাশুড়িকে কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে যক্ষম করেছে। বর্তমানে স্ত্রী মোরশেদার অবস্থা খুবই আশঙ্কা জনক। তারা উভয়ে উভয়কে সন্দেহ করতো বলে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। এদিকে সোহাগকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে এবং আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন